শরীর সুস্থ থাকতে সবচেয়ে বেশি জরুরি হলো পানি। এটি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করাসহ শরীরে অক্সিজেনের জোগান দেওয়ার মতো কাজ করে। ফলে নিয়ম করে সারাদিন ধরে পানি পান করতে বলেন চিকিৎসকরা।
তবে খেতে বসে অনেকেরই বারবার পানি খাওয়ার অভ্যাস আছে। অনেকে আবার খাওয়ার পরপরই পানি পান করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব অভ্যাসে শরীরে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। পানির সব গুণ পেতে হলে তা খেতে হবে ঠিকভাবে। কয়েকটি নিয়ম না মানলে গ্লাসের পর গ্লাস পানি খেয়ে ফেললেও কোনো সুফল মিলবে না। যেমন-
১. খেতে খেতে পানি পান করলে শরীরে হজমকারী হরমোন ঠিকমতো কাজ করে না। এ ছাড়া বিপাক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অ্যামাইনো অ্যাসিড নষ্ট হয়ে যায়।
২. খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সেখান থেকে হৃৎপিণ্ডের ব্লকেজের সম্ভাবনা থেকে যায়।
৩. খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সেখান থেকে হার্ট ব্লকেজের সম্ভাবনা থেকে যায়।
৪. খাওয়ার মাঝে পানি পান করলে গ্যাস-অম্বলের পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও হয়।
৫. খাবার খেয়ে পানি পান করলে হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইমগুলো দ্রবীভূত হয়ে যায়। তাতে খাবার ভালো করে হজম হয় না।
৬. যেসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি, সেসব ফল খাওয়ার পরপরই পানি খাওয়া উচিত নয়। যেমন- তরমুজ, খরমুজ, শশা, কমলালেবু, আনারস, বাতাবি লেবু বা স্ট্রবেরির মতো ফল খেয়ে কখনোই পানি পান করা উচিত নয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এর কারণ হলো- পানিযুক্ত এসব ফল তেষ্টা মেটায়। শরীরে পানির ঘাটতিও মেটে। ফলে সেই সময় শরীরে পানির প্রয়োজন বেশি থাকে না। তবুও ফল খাওয়ার পরও তৃষ্ণার্ত বোধ করলে কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর পানি পান করতে পারেন।
৭. চিকিৎসক এবং ডায়েটিশিয়ানরা অবশ্য ফল এবং খাবার খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পর পানি পানের পরামর্শ দেন।