বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, সম্প্রতি সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বাতিল চেয়ে বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করায় তাদের আসনের উপনির্বাচন আলোচনায় আনতে আওয়ামী লীগ বিএনপি থেকে বহিস্কৃত সাত্তারকে ক্রয় করে এবং হিরো আলমদের ব্যবহার করে ‘বাটপারী মডেল’ এর নির্বাচনে করে আগামী নির্বাচনের ড্রেস বিহার্সেল করেছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। উপনির্বাচনে অপকর্ম ফাঁস হয়ে যাওয়ার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে মিথ্যাচার করছেন। বিএনপি এত দেউলিয়া হয়ে যায় নাই যে হিরো আলমকে হায়ার করে নির্বাচন করে সংসদকে খাটো করতে হবে।
তিনি বলেন, সংসদকে খাটো করার জন্য হিরো আলমকে এমপি করার কোনও দরকার নাই বিএনপির, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিতর্কিত এবং নিষ্ঠুর প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে এই সংসদকে আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতদের আখড়ায় পরিণত করেছ। সংসদ, সরকারে অনেক তথাকথিত হিরো আছেন, যারা বাংলাদেশটাকেই জিরোতে পরিণত করেছে । এরা সংসদকে শুধু খাটোই নয়, জনগণের অধিকার হরণ, প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের বিরোধী দলের চরিত্র হনন, মিথ্যাচারের হাতিয়ারে পরিণত করেছে। সম্প্রতি সংসদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বাহাসে আবারও প্রমাণিত হয়েছে জনগণের ভোটে এই সংসদ নির্বাচিত হয় নাই। সাজানো, পাতানো প্রহসনে ভাগবাটোয়ারায় এই সংসদ হয়েছে। এই সংসদে দেশে বিদেশে কারও কোনও আস্থা বিশ্বাস নাই। তারা প্রতিদিনই কৌতুক ছড়ান।
তিনি আজ রোববার, সকালে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় দলীয় কার্যালয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পদযাত্রা সফল করতে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশে নির্বাচনী ব্যাবস্থা সম্পুর্ণ ভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রধান এবং একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নিজে। আওয়ামী মার্কা নির্বাচন মানেই উকিল মডেলের বাটপারীর নির্বাচন । এই আওয়ামী মার্কা নির্বাচন ও গণতন্ত্র মানুষ চায় না।
জনগণের সরকার নয় বলেই, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেই দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম লাগামহীন বৃদ্ধি করে সরকার জনগণকে সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। শীতের মধ্যেও লোডশেডিং এ কৃষকরা জমিতে সেচের পানি দিতে পারছে না। শিক্ষা ব্যাবস্থা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। যেভাবে শিক্ষাক্রম ও কারিকুলাম করা হয়েছে,তাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে।
সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্ত ,অব্যাবস্থাপনা, ব্যার্থতায় মানুষ সর্বগ্রাসী সঙ্কটে নিপতিত। সর্বগ্রাসী সঙ্কট ও জনদূর্ভোগ সৃস্টিকারী এবং ভোটাধিকার হরণকারী সরকারকে জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না । তিনি বলেন , সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, জনদুর্ভোগ নিরসন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে । কিন্তু সরকার গণদাবী অগ্রাহ্যকরে একগুঁয়ে আচরণ করছে। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে সরকারের পতনের যাত্রা শুরু হবে।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে হালুয়াঘাট পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে অনষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় অন্যন্যের মধ্যে হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, আবদুল হামিদ,আব্দুল হাই, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আবদুল আজিজ খান, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান আসিফসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
